এরপর পাশের জমিতে পাম্প স্থাপন করতে গেলে আলী আহাম্মদকে বাধা দেন সফি উদ্দিন। সালিসের সিদ্ধান্ত না মানায়, তাঁর নামে ইউপি সদস্য মজিবরের কাছে নালিশ করেন আলী আহাম্মদ। তাঁরা দুজনে তখন সফিউদ্দিনকে সালিসের মাধ্যমে দেওয়া ২০ টাকার ফেরত দিতে বলেন। তিনি রাজি না হওয়ায় নানাভাবে চাপ দেন তাঁরা। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে কৃষক সফি উদ্দিন মঙ্গলবার রাতে ঘর থেকে বেরিয়ে যান। পরে বুধবার সকালে ফসলের মাঠে একটি ফাঁসির মঞ্চে তাঁর ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পান স্থানীয় লোকজন।
কৃষক সফি উদ্দিনের এমন মৃত্যুতে এলাকায় চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতেই আহাম্মদ আলী ও মজিবর রহমানকে আসামি করে থানায় মামলা করেন নিহত কৃষকের বড় ছেলে আনোয়ার হোসেন। তিনি বলেন, ‘মৃত্যুর আগে বাবা বলে গেছেন তাঁর যদি মৃত্যু হয়, তবে এর জন্য মজিবর মেম্বার ও আহাম্মদ আলী দায়ী থাকবে। আমার বাবাকে আত্মহত্যা করতে বাধ্য করা হয়েছে।’
এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে নয়াবিল ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মজিবর রহমান ও কৃষক আহম্মদ আলীর মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করা হলেও নম্বর দুটি বন্ধ পাওয়া যায়।
নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বছির আহম্মেদ বলেন, ওই কৃষককে আত্মহত্যার প্ররোচনায় দুইজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। অভিযুক্ত ব্যক্তিদের ধরতে পুলিশের অভিযান চলছে।